1. admin@dainikprottasha.com : admin :
  2. : notesprofile :
রাজারহাটে ভুয়া সনদে চাকরি নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন দুইবার বিয়ে রেজিস্ট্রি - দৈনিক প্রত্যাশা
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুনঃ+৮৮০১৭৪৪-৮৯৬৫৮৮

রাজারহাটে ভুয়া সনদে চাকরি নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন দুইবার বিয়ে রেজিস্ট্রি

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
  • ১৫৩ বার শেয়ার হয়েছে

সুজন কুমার রায়
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার পান্থাবাড়ি বালা কান্দি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের হিড়িক। গভর্নিং বডির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করে চাকরি দেওয়া সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও প্রভাব খাটিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিবের ছোট ভাইকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মনোনীত করে টাকার বিনিময়ে নিকটাত্মীয়দের চাকরি দেবার অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। উক্ত প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত অফিস সহকারী শান্তকে জিম্মি করে চাকরির অব্যহতিপত্রে স্বাক্ষর নেবার ঘটনা ঘটিয়েছে প্রভাবশালী মহলটি। এ ঘটনায় প্রভাবশালী সভাপতির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শান্ত ৪ঠা জুন ২৪ কুড়িগ্রাম জেলা দায়রা জজ আদালতে ৭৪/২৪ নম্বরে একটি মামলা দায়ের করেন। এসব ঘটনার সূত্র ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা গেছে চারটি পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩২ জন চাকরি প্রত্যাশী। আবেদনকারী প্রার্থীদের তথ্যানুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আয়া পদে আবেদনকারী প্রার্থী শিউলি বেগম তার জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে বয়স কমিয়ে আবেদন করেন। শিউলি বেগমের জন্ম নিবন্ধন ও প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা গেল তার প্রকৃত জন্ম ২৮ মার্চ ১৯৮৩ সালে। চাকরি নেবার সুবাদে বয়স কমিয়ে জন্ম তারিখ দেখিয়েছে ২৮ মার্চ ১৯৮৯ সাল। বয়স কমানোর ক্ষেত্রে বিয়ের কাবিন ও অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদ প্রদর্শন করেন শিউলি বেগম। খলিলুর রহমান কাজী স্বাক্ষরিত ৭ই মার্চ ২০২২ তারিখের নিকাহনামায় শিউলি বেগমর জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয় ২৮ মার্চ ১৯৮৯। বালাকান্দি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানায় শিউলি বেগমের বিয়ে হয় ছমিয়ত উল্যার পুত্র শোয়েব আলীর সাথে ২০০৭ সালে। তারা এ প্রতিবেদককে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করে চাকরি নেবার সুবাদে পুনরায় কাবিন নামা তৈরি করেন শিউলি বেগম। সে নতুন করে ২০২২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও ওমর মজিদ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধনে পাওয়া যায় তার প্রথম পুত্রের জন্ম হয় ২৮ অক্টোবর ২০০৮ সালে। শিউলি বেগম তার চাকরির আবেদনপত্রে ৮ম শ্রেণি পাশের সনদ যুক্ত করে। তাতে দেখা যায় শিউলি বেগম ২০০৩ সালে ফরকেহাট কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যাল থেকে ৮ম শ্রেণি উত্তীর্ণ হন। শিউলি বেগমের ভর্তি তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে ফরকেরহাট কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ভর্তি তথ্যে জন্ম তারিখের যায়গায় ঘষামাজার চিহ্ন পাওয়া যায়। আর কোনো তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তা দেখাতে পারেনি। শিউলী বেগমের সাথে যোগাযোগ করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষা সনদ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনধরনের তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানান। জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করে আয়া পদে নিয়োগের আবেদন করার বিষয় জানতে পান্থাবাড়ি বালাকান্দি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধনেশ্বর চন্দ্র বর্মনের সাথে কথা বলতে তার বিদ্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলে তিনি সেটিও রিসিভ করেননি। শিউলী বেগমের আবেদনে অনিয়মের বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রব বলেন-যদি তার কোনো কাগজপত্রে অসঙ্গতি প্রমাণিত হয় তাহলে সে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার সুযোগ পাবে না। অফিস সহায়ক শান্ত তার চাকরি ফিরে পেতে মামলার বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন-আদালত থেকে যদি তার চাকরি বহালের আদেশ জারি করে তাহলে তার পরিবর্তে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি