রতন রায় : স্টাফ রিপোর্টার
কুড়িগ্রামে রাজারহাট উপজেলাধীন নাজিম খান স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে চলছে রমরমা গাঁজা ব্যবসা সহ সেবন।
প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে এ মাদক ব্যবসা, শুধু ব্যবসায়ী না চলছে প্রকাশে সেবন।
মাদক ব্যবসায়ীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে মাদকের আকরা তৈরি করেছেন।
এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ,এই মাদকের সেবনের ফলে হচ্ছে চুরি, চাঁদাবাজি সহ নানা ধরনের অপকর্ম। তৈরি হচ্ছে কিশোর গ্যাং।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন,আমার সামনে বয়স আনুমানিক ১৩-১৪ হবে তাকেই এক গাঁজা ব্যবসায়ী গাঁজা হাতে তুলে দিয়ে টাকা দিয়ে চলে গেলেন।
তাই এভাবেই একের পর এক যদি তাঁরা আপনার আমার সন্তানের হাতে এসব মাদক তুলে দেন তাহলে সমাজ আজ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে।
বেশি কিছু বলতে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা উল্টো হুমকি দেয়, বলে মাদক তোর বাড়িতে রেখে তোকে ধরিয়ে দিবো সহ নানা ধরনের ভয় ভীতি দেখান তারা।
তাই এই বিষয়ে অনেকে কথা না বলে নিরুপায় হয়ে মান সম্মানের দিক চেয়ে নিরবে সহ্য করে যাচ্ছে এই সমাজের লোক।
তাই মাদক নির্মূল কমিটি সহ পুলিশ প্রশাসন যদি চেষ্টা করে তাহলে সম্ভব এই সব মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে আইনের আওতায় শাস্তি দিতে পারেন।
কারন নাজিম খান স্কুল এন্ড কলেজ কিন্তু একটা সু নাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,এই প্রতিষ্ঠানের অনেক নাম আছে কিন্তু সে-ই প্রতিষ্ঠানের মাঠে যদি মাদক সেবনের জন্য ব্যবহার করা হয় তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল এরা কি করছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এই ব্যাপারে নাজিম খান স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মোঃ ফারুক হোসেন মুঠো ফোনে বলেন, আমি তো থাকি কুড়িগ্রামে আর এই সব কর্মকাণ্ড প্রতিষ্ঠানের মাঠে হয় তা আমি জানিনা। ওখানে আমার নাইট গার্ড থাকে তাঁর তো কোন দিন এ ব্যাপারেও অভিযোগ জানান নি। তবে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেয়ার মতো না।
তিনি আরো বলেন, আগে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের মাঠের ভিতর সন্ধ্যার পর কেউ ঢুকতে পারতো না, কিন্তু নাজিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল সহ গেটের কাজ চলমান থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে বলে মনে করেন এই ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ফারুক হোসেন।
সেই সাথে তিনি রাজারহাট থানার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে চান বলে সাংবাদিকদের জানান।
নাজিম খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আতাউর রহমান(পাখি)র সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি এই বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবো এবং এর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ শেষ কিন্তু গেটের দরজা তৈরি করেছেন এখন পর্যন্ত এই দরজাটি লাগানো হয়নি।
তাই তারা এই সুযোগে এই কাজ গুলো করে যাচ্ছে। অতি তারাতাড়ি এই গেটের কাজ সমাপ্ত করা হবে।
Leave a Reply