1. admin@dainikprottasha.com : admin :
  2. : notesprofile :
কুতবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবীব মাস্টারের অনিয়ম ওদূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন। - দৈনিক প্রত্যাশা
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুনঃ+৮৮০১৭৪৪-৮৯৬৫৮৮

কুতবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবীব মাস্টারের অনিয়ম ওদূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৫২ বার শেয়ার হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ

বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীবের বিরুদ্ধে, স্কুল সংস্কার বরাদ্দের টাকা আত্নসাথের অভিযোগ উঠেছে। গেল বছর স্কুল সংস্কার ও মেরামত করার লক্ষ্যে ২ লক্ষ টাকা বাজেট নেন, বিভিন্ন কস্ট দেখিয়ে, কিন্তু স্কুল সংস্কার না করিয়ে সম্পন্ন বাজেটের টাকা আত্নসাথ করে নিজের পকেটে ভারেন।।

অভিযোগ উল্লেখিত ২০১৮ সাল হতে, অদ্যবদি নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জর্জরিত। প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব নিয়মিত স্কুলে আসে না, ক্লাস করান না, স্কুলে উপস্হিত না হয়েও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর, সরকারী বরাদ্দকৃত ল্যাপটব, প্রেজেক্ট, নিজ ইচ্ছা বিক্রয়, সহকারী শিক্ষক শিক্ষক ছুটি আবেদন করলে ঘুষ দাবি প্রভৃতি ইত্যাদি । স্কুলে কোন মাসিক মিটিং নাই, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাথে কোন প্রকার মিটিং ও রেজুলেশন ছাড়াই স্কুলের পরিত্যক্ত মালামাল বিক্রিয় করে নিজের পকেট ভর্তি করেন।

গতকাল ২৩ই সেপ্টেম্বর, সোমবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় , কুতুব পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দ মানববন্ধন করেন । মানববন্ধনে কুতুব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগ তুলেন। স্কুলের নতুন ভবনের পাচিল ফাটল, ক্লাস রুম অগোছালো, ক্লাস রুমে ফ্যান নেই, পুরাতন বিল্ডিং রং ও মেরামত,খেলার সামগ্রী লুটপাট, স্কুলের ল্যাপটব, ও প্রজেক্টর প্রভৃতি ইত্যাদি। এই সমস্তো জিনিস ঠিক করার লক্ষে মোটা অংকের বাজেট নেন প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব। কিন্তু এগুলো কোনটাই ঠিকঠাক ভাবে, মেরামত ও সংস্কার করা হয় নাই।

মানববন্ধনে এলাবাসী ও অভিভাবকদের বক্তব্য বলেন, আহসান হাবীব মাস্টার নাকী একদিন ও স্কুলে না আসলে ৪৮ হাজার টাকা বেতন পাবেন, ওনি স্কুলে নিয়মিত আসেন না, সরকারী নিয়মকে তোয়াক্কা করেন না, নিজের মতোই স্কুল পরিচালনা করেন।

মানববন্ধনে সাবেক ইউপি মেম্বার রেজাউল বলেন, উন্নয়ন ফান্ডন থেকে টাকা ৭০০০০ হাজার, চক ডাষ্টার বাবদ ৬ মাস পর পর ১৮০০০ টাকা পান প্রধান শিক্ষক কিন্তু উন্নয়ন ফান্ডের টাকার কোন কাজই করেননি তিনি। চক ডাস্টার বাবদের টাকা পেলেও চক ডাস্টারের অভাবে অনেক সময় শিক্ষকরা ক্লাস নিতে পারেন না।

স্থানীয় শিমুল নামে একজন বলেন, আলমারি বিক্রয় করেছে প্রধান শিক্ষক, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের থেকে প্রতি সার্টিফিকেট বাবদ টাকা নেয়া হয় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, এছাড়া সবথেকে বড় কথা ওয়ার্ল্ড ব্লকের মোটর বিক্রয় করেছে প্রধান শিক্ষক। যার ফলে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে পানি খেতে পারেন না। বাহিরে গিয়ে পানি খেতে হয়।

স্থানীয় দীপক গুপ্তের অভিযোগ, নষ্ট হওয়া ফ্যান বিক্রয় করেন প্রধান শিক্ষক কিন্তু সেই টাকা কোথায়? দুই মাস থেকে টিউবওয়েল নষ্ট সেটা কি প্রতিষ্ঠার প্রধানের চোখে পড়ে না।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন সহকারী শিক্ষক সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, আমরাও এ বিষয়ে সাথে একাত্বতা প্রকাশ করছি, আমরা চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দূর্নীতি ও অনিয়মে মুক্তি হউক।

প্রধান শিক্ষকের সাথে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করলে, কোন উওর পাওয়া যায় নাই।।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত করা হবে, সত্যতা মিললে আইনুযায়ী ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি