1. admin@dainikprottasha.com : admin :
  2. : notesprofile :
কুড়িগ্রামে সুপার মাসুদুর রহমান(রানা) বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ। - দৈনিক প্রত্যাশা
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ অপরাহ্ন

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুনঃ+৮৮০১৭৪৪-৮৯৬৫৮৮

কুড়িগ্রামে সুপার মাসুদুর রহমান(রানা) বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ।

  • প্রকাশিত: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৯৪ বার শেয়ার হয়েছে

 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিকদারী নুনখাওয়া কেরামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাসুদুর রহমান (রানা) বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সুপার নাগেশ্বরী উপজেলার শহর বণিক সমিতির পাশে বাড়ি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও ১৯৯৩ সালের দিকদারী নুনখাওয়া কেরামতিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার পদে যোগদানের পর বুনে গেছেন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করে । তৈরি করেছেন নাগেশ্বরী শহরে একটি বিলাসবহুল বাড়ি। শুধু তাই নয়, মাদ্রাসার সুপার হয়েও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের তাবেদারি করেছেন এই সুপার বিগত বছর ধরে মাদ্রাসার শিক্ষকদের টিউশন ফি না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন লাখ লাখ টাকা। মাদ্রাসার জমি লিজ দেয় ২ লক্ষ, তিনটি নিয়োগ বাণিজ্যে প্রায় ১৮ লক্ষ, মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষক মাসের পর মাস অনুপস্থিত থাকার পরেও উৎকোচ নিয়ে প্রেজেন্ট দেখান সুপার তবে সেসব টাকার হিসাব কখনোই পায়নি প্রতিষ্ঠান। নানান অজুহাতে, বিভিন্ন কাজের ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে নিজেই হাতিয়ে নিয়েছেন এই টাকা।
এদিকে গেলো ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে,বিগত কমিটি রাতের আধারে ছক কষে করা হতো প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন। অভিভাবক ভোটে, অভিভাবকদের মধ্যথেকে ম্যানেজিং কমিটি করার কথা থাকলেও নিজ স্বার্থ হাসিলে ব্যাক্তিগত লোকদের বানানো হয়ে ছিলো কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি। যাদের কোনো সন্তান ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নন। কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারির সাথে ভাগাভাগি করে তবেই অর্থ আত্মসাৎ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে সুপারের বিরুদ্ধে।অন্যদিকে ভাড়াটিয়া ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে প্রতিষ্ঠানের সম্মান বাঁচাতে এবং যাতে তাদের বিল বন্ধ না হয় এই বুঝ দিয়ে সরকারকে ফাঁকি দিচ্ছেন সুপার মাসুদুর রহমান (রানা)।
তবে হতাশার বিষয় হলো, গত বছর গুলোতে ভাড়াটিয়া ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে একটিও জিপিএ ৫ আনতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। বরং অনেক শিক্ষার্থী ফেল করেছে এ বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা নাই বলতেই চলে যদিও কাগজে-কলমে দেওয়া আছে ৩৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী কিন্তু বাস্তব সেটা নেই। প্রতিষ্ঠানটিতে উপবৃত্তি প্রায় ১১০ জন শিক্ষার্থী, দুঃখজনক বিষয় যে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির চেয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীর উপস্থিতি বেশি দেখা যায় সেখানে। এটাই শেষ নয় ১৯৯৩ সালে মাদ্রাসায় যোগদানের পর মাদ্রাসা মাঠের বড় বড় গাছ কেটে পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। লাখ লাখ টাকা উন্নয়নের খাতে ব্যয় দেখানো হলেও বাস্তবতা মেলেনি প্রতিষ্ঠানে। যার প্রমাণ মিলেছে মাদ্রাসার শ্রেণী কক্ষগুলো ক্লাস নেওয়ার নেই কোন পরিবেশ বন্যা কবলিত এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রে দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও মেয়েদের জন্য নাই কোন কমন রুমের ব্যবস্থা। এদিকে সরকারি নিয়মানুসারে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম চলমান থাকার কথা থাকলেও ওই আইন ভঙ্গ করেছেন সুপার । নিজের করা নতুন নিয়মে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম। সপ্তাহে একদিন মাদ্রাসায় উপস্থিত হলেও অটো সাইনে হাজিরা নেন এক দিনেই । সরকারি কোনো জরিপ হলে নীল খামের চালানে সব কিছুই স্বাভাবিক থাকতে দেখা যায়।মাদ্রাসায় যান যে দিন শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সব হিসাব-নিকাশ বুঝে নিতে ভুল করেন না তিনি। এছাড়া কখনো কখনো অভিভাকরা প্রতিবাদ করতে চাইলে আওয়ামী লীগের পাওয়ারে কাউকে কোন তোয়াক্কাই করতেন না সুপার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী ও অভিভাবক জানান, ১৯৯৩ সালের থেকে মাসুদুর রহমান (রানা) মাদ্রাসার সুপার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারপর নিজের লোকজন দিয়ে ম্যানেজিংক কমিটি করে এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে মাদ্রাসা ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ, লেখাপড়ায় অনিয়ম সহ নানান দুর্নীতিতে জড়িয়ে পরেন তিনি। বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের সাথে ওঠাবসা আর সম্পর্ক থাকার ফলে এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পর্যন্ত করার সাহস পায়নি। আমরা বর্তমান অর্ন্তভর্তিকালীন সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি, এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে অতি শিগগিরই দুর্নীতিবাজ মাদ্রাসা সুপার কে অব্যাহতি দিয়ে তার সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে যেন সুষ্ঠ তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি