1. admin@dainikprottasha.com : admin :
  2. : notesprofile :
খালিয়াজুরীর জলমহল থেকে কোটি টাকার মাছ আত্মসাৎ আ.লীগ-জামায়াত নেতার - দৈনিক প্রত্যাশা
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুনঃ+৮৮০১৭৪৪-৮৯৬৫৮৮

খালিয়াজুরীর জলমহল থেকে কোটি টাকার মাছ আত্মসাৎ আ.লীগ-জামায়াত নেতার

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১২২ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ খান সোহেল নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোণার খালিয়াজুরীর ধলিমাটি সরকারি জলমহাল দখল করে অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগ।

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীর ধলিমাটি সরকারি জলমহাল দখল করে অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামী নেতা জমিস মিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও নিজ এলাকার প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়ে অবৈধভাবে চলতি বছর মাছ ধরছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে অদৃশ্য কারণে উপজেলা প্রশাসন এক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে দাবি এলাকাসীর। তাদের দাবি, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বল্লী গ্রামের প্রভাবশালী জুয়েল গ্রুপ ও জসিম গ্রুপ দখলে রেখে ধলিমাটি জলমহাল থেকে মাছ কোটি টাকা মাছ ধরছেন।

অভিযুক্ত নেতার দাবি সরকার টাকা পাচ্ছে ঠিকিই মাঝখানে ইজারায় অংশ নিয়ে আমাদের টাকা গচ্ছা যাচ্ছে। তবে স্থানীয়দের

জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসন খালিয়াজুরীর ধলিমাটি জলমহালের ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তখন উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের বল্লী গ্রামের দুটি সমবায় সমিতি দরপত্র ক্রয় করে। এদের একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরীর গ্রুপের জিলিক মৎসজীবী নামে দরপত্র ক্রয় করে। অন্যটি জসিম মিয়ার গ্রুপ মদীনা মৎসজীবী সমিতির নামে দরপত্র ক্রয় করে। জিলিক মৎসজীবী সমিতি ভ্যাটসহ ৮৪ লাখ টাকা ও মদীনা মৎসজীবী সমিতি ভ্যাটসহ ৬৬ লাখ টাকা উন্নয়ন প্রকল্প করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে দরপত্র অনলাইনে জমা দেন। কোনো কারণে জিলিকের দরপত্র ভূমি মন্ত্রণালয়ে জমা হয়নি। ফলে মদীনা মৎসজীবী সমিতির নামেই মন্ত্রণালয় থেকে ইজারার চিঠি প্রেরণ করা হয়। কম মূল্যে প্রতিপক্ষ ইজারা পাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে জিলিক সমিতির লোকজন ২০২৩ সালে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ ১২ জনকে বিবাদী করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। এটি বিচারাধীন থাকায় কেউ আইনগতভাবে মাছ ধরতে পারেন না। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে দুই সমিতি লোকজন ধলিমাটি জলমহাল দখল করে মাছ ধরছে।

ধলিমাটি জলমহাল এলাকায় বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আলাপকালে স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, জুয়েল চৌধুরীর গ্রুপ ও জসিম মিয়ার গ্রুপ এক হয়ে ধলিমাটি জলমহাল দখল করে মাছ ধরছে। কাউকে ফিশারির কাছেও যাইতে দেয় না। তারা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকার মানুষও মাছ ধরতে পারে না। প্রশাসনকে জানানোর পরেও তারা কোনদিন ফিশারিতে আসেনি। আবার সরকারও খাজনার টাকা পাচ্ছে না। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা মাছ ধরছে।

এ ব্যাপারে জসিম মিয়া জানান, ধলিমাটি ফিশারি আমরা ইজারা পেয়েছিলাম। জিলিক মৎসজীবী সমিতির লোকজন হাইকোর্টে মামলা করে আটকে দিয়েছে। আমরা ক্ষতি মধ্যে পড়েছি।

জিলিক সমিতির লোকজনের সঙ্গে মিলে অবৈধভাবে ধলিমাটি জলমহালটি ফিশিংয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

মাছ ধরার কথা অস্বীকার করলেও জলমহালটি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়টি স্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা মো. জুয়েল চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘জসিম ডিসি অফিসে কারসাজি করে আমার সমিতি ফাইল ভূমি মন্ত্রণালয়ে ফরওয়াডিং আটকে রেখে ধলিমাটি ফিশারি ইজারা নেয়া। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি। এটি এখন বিচারাধীন আছে। সরকার তো টাকা পাচ্ছেই মাঝখানে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত।’

জসিমকে সঙ্গে নিয়ে ধলিমাটি জলমহাল ফিশিংয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি, আর জসিম জামায়াত করে। তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো আবুল কালাম , ‘অবৈধভাবে ধলিমাটি ফিশিংয়ের ব্যাপারে ইউএনও ও ডিসিকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’

খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি