ষ্টাফ রিপোর্টার
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সমতল ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে ভূমি ধসের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে কৃষকের ফসলি জমি। উপজেলার পাইকের ছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা মৌজার সিংটারী এলাকার ফসলি জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে ওই গ্রামের মাসুদ ও হাফিজুর অন্যের জমি জোড় পূর্বক দখল করে ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ড্রেজার মেশিন দিয়ে সমতল মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পাশের ফসলি জমি ও আশপাশের পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় জমির মালিক ভূমি দস্যুর আতঙ্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, যে জমি থেকে বালু তোলা হচ্ছে সেটি আমাদের দুই বোনের জমি। কিন্তুু ভূমি দস্যু মাসুদ ও হাফিজুর আমাদেরকে কোন কিছু না জানিয়ে জমি জোরপূর্বক দখল করে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করছে। পরবর্তীতে আমরা জানতে পেরে বাধা প্রদান করলে আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিলে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি আরো বলেন সেই জমিসহ আশপাশের সমস্ত জমি বালু তোলার কারণে জমির তলদেশ ফাঁকা হয়ে যাবে। এতে যে কোনো সময় বিশাল এলাকা নিয়ে জমি ধসে যেতে পারে।
স্থানীয়রা আরো জানান, বালু তোলা বন্ধ করতে বললে তারা কোনো কথাই না শুনে ১১ মে শনিবার রাতের আধারে আনুমানিক রাত ০২ টার দিকে পুনরায় বালু উত্তোলন কার্যক্রম চালু করলে স্থানীয় লোকজন থানায় জানান।
পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বালু উত্তোলনে তাদের বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে ভূমি দস্যু চক্রটি। তাই নিজেদের ফসলি জমি রক্ষার্থে নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বালু উত্তোলন কারি মাসুদ ও হাফিজুরের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করে নাই ।
এই বিষয়ে বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন রাতের আধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যাই কিন্তুু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply