স্টাফ রিপোর্টারঃ
র্যাব-১৩ রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং নীলফামারী মহাসড়কে অভিযান পরিচালনা করে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি চক্রের ১১ জনকে আটক করেছে।
রোববার (১৯ মে) র্যাব-১৩ অধিনায়কের পক্ষে উপ পরিচালক মিডিয়া(স্কোয়াড্রন লীডার) মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে বেআইনিভাবে বিভিন্ন উপায়ে বেআইনি রশিদ প্রদান করে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল বিভিন্ন সুযোগ সন্ধানী গোষ্ঠী। তারা বিভিন্ন সময়ে লাঠিসোটা দেখিয়ে পণ্যবাহী যানবাহন থামিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছিল। মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে এসব চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছিল। বিষয়টি র্যাব-১৩ এর নজরে আসলে সেটি নিয়ে র্যাব-১৩ গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় রংপুর বিভাগের তিন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ১১ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৩।
শনিবার ১৮ মে রাত ১১টার দিকে রংপুরে মেট্টোর কোতোয়ালি থানার দক্ষিণ কামাল কাছনা বৈরাগী পাড়ার মৃত খাজা জামাল উদ্দিনের ছেলে চাঁদাবাজ মো. মাসুদ আহমেদ (৪৫), কামাল কাছনা দাসপাড়ার শ্রী জয়ন্ত সরকারের ছেলে শ্রী দিপক সরকার (৪০), পার্বতীপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো. জালাল মিয়া (৩২) তাজহাট থানার আসরতপুর মাছিয়াপাড়া মানিক চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী পলাশ চন্দ্র রায় (৩২) মিঠাপুকুর থানার চুহুড় এলাকার সেকান্দার আলীর ছেলে মো. মিলন মিয়া (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়।
একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার চৌধুরীপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. জাবেদ (৩৪), মুক্তার পাড়া এলাকার বদিউজ্জামানের ছেলে মো. বেলাল হোসেন (২৭), ও নেচাপাড়া এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. ইব্রাহিম আলী এবং রংপুর মেট্রোর হারাগাছ থানার সারাই বিদ্যা পাড়া এলাকার আসাদুল ইসলামের ছেলে মো. শাহাবুল ইসলাম (২৯) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উপ-পরিচালক আরও জানান, একই দিন বিকেল ৫টার দিকে নীলফামারীর জলঢাকা নীলফামারী মহাসড়ক থেকে জলঢাকা ঢাকা থানার দুন্দিবাড়ি এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে চাঁদাবাজ মো. শাহআলম (৪৩), এবং কদমতলী এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মো. গোলাম মোস্তফা (৪২) কে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীদেরকে রংপুর জেলার হারাগাছ, কুড়িগ্রাম জেলার কুড়িগ্রাম সদর, নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে।
Leave a Reply