রতন রায় : স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ঢালাওভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সম্মিলিত সনাতন পরিষদের নেতারা। তারা বিভিন্ন অজুহাতে সরকারি চাকরি থেকে সনাতনীয় সম্প্রদায়কে চাকরিচ্যুত, নতুন সরকারি নিয়োগ ও সংস্কার কমিটিগুলোতে সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব না থাকা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরিরত সনাতনীয় সম্প্রদায়ের লোকদের ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং সনাতনী শিক্ষকসহ সব শিক্ষকের চাকরিচ্যুত ও লাঞ্ছনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘর, উপাসনালয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট এবং আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) সম্পর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের প্রতিবাদে’ বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন পরিষদের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাগ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জেকে পাল, অধ্যাপক অশোক তরু, প্রধান সমন্বয়ক শ্যামল রায়, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ আচার্য, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ডা. মৃত্যুঞ্জয় কুমার রায়। প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সনাতন সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর- মন্দির ভাঙচুর, সম্পদ লুন্ঠন, হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ, ধর্মান্তরিত ও ধর্মীয় অবমাননার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। কিন্ত একটি ঘটনারও সঠিক বিচার পাওয়া যায় নাই। লিখিত বক্তৃতায় অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায় বলেন, কিছু ব্যক্তি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও সেবামূলক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) নিষিদ্ধ করার কথা বলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন।
Leave a Reply