রতন রায় অর্ঘ্যঃ স্টাফ রিপোর্টাকৃষির
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পোকার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে একজন কৃষকের বোরো ধান। প্রতিকার ও পরামর্শ পেতে প্রবীণ কৃষক ফজলুর রহমান (৬৫) পোকা আক্রান্ত সেই একগুচ্ছ ধান নিয়ে গিয়েছিলেন কৃষি অফিসে।
ভুক্তভোগী কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে বোরো আবাদ করেছি। কিন্তু কিছুদিন ধরে পোকার আক্রমণে কচি ধান মরে যাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে থেকে কৃষি ও কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার কথা থাকলেও তাঁরা মাঠে যান না। তাই আজ বাধ্য হয়ে একগুচ্ছ ধান হাতে নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য আসি। এ সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজনকে বিষয়টি জানাই।’
ফজলুর রহমান জানান, এ সময় তিনি তাঁর ধানগুলোর ছবি তুলে রাখার জন্য অনুরোধ করেন এবং জেলার কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালকের মোবাইল নম্বর চান। আর এতে রেগে যান ওই কৃষি কর্মকর্তা।
কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার সাথে খুবই খারাপ আচরণ করেছেন উনি। উনি বলেছেন আমি কি আপনার কামলা দেই। আপনি কি দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছেন। আপনি বললেই মাঠে যেতে হবে। যা পারেন করেন গা। আপনি বেরিয়ে যান। যদি বয়স্ক লোক না হতেন, তাহলে আপনাকে দেখে দিতাম।’ এ সময় উপসহকারী ওই কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে অন্য সহকর্মীরাও যুক্ত হন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে পেরে কৃষক ফজলুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় কৃষি অফিসে যান স্থানীয় দুজন সাংবাদিক। তাঁরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারকে বিষয়টি জানান।
সব শুনে তিনি ভুক্তভোগী কৃষকের সঙ্গেই ধমক দিয়ে কথা বলেন এবং কৃষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এ সময় সাংবাদিকেরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের ওপরেও চড়াও হন এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন কৃষি কর্মকর্তা।”
Leave a Reply