রতন রায় : স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।
গোটা মাঠে যেমন টা দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। মাঠের মতো পুরস্কারের মঞ্চেও দারুণ জয়জয়কার বাংলাদেশের। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন ঋতুপর্ণা চাকমা। টুর্নামেন্ট সেরার পাশাপাশি ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন ঋতুপর্ণা। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। বাংলাদেশের যে আজ ইতিহাস গড়লো তার পিছনে পুরো ক্রেডিট ছিল ঋতুপর্ণা চাকমার। তার গোলেই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন ও নিজের স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালো লাগছে আমরা আবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমি গোল করেছি এবং পুরস্কার পাওয়াতে খুশি লাগছে। এতে আমার পরিবারও অনেক খুশি হবে।’
২০২২ সালে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয় করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। আর এবারও সেই একই ভেন্যুতে, স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে ২-১ গোলের চমকপ্রদ জয় নিয়ে শিরোপা ধরে রাখল সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ। ২০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে থেকেও বিশাল ভাবে জিতে নিল বাংলার মেয়েরা।
খেলার প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র ছিল। তারপর খেলার গতি আরও বাড়ায় বাংলার মেয়েরা। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে বাংলাদেশের মনিকা চাকমা প্রথম গোল করে লিড এনে দেন। গোলটি আসে সাবিনা ও তহুরার সঙ্গে তার সমন্বিত আক্রমণের ফলে। গোল হজম করে নেপালও থেমে ছিল না, তারা পাল্টা আক্রমণ সাজাতে থাকে। ৫৪তম মিনিটে আমিশা কার্কি বাংলাদেশের ডিফেন্স পেরিয়ে নেপালের হয়ে গোলটি করে সমতা ফেরান।
তারপর উভয় দলই খেলায় ফেরার জন্য অনেক ট্রাই করে। নেপালের মজবুত ডিফেন্স আর বাংলাদেশের আক্রমণ চলতে থাকে সমানতালে। ৮২তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে থ্রো ইন থেকে বল নিয়ে ঋতুপর্ণা চাকমার দুর্দান্ত শটে নেপালের জালে বল জড়িয়ে যায়, যা ফাইনালের দ্বিতীয় ও বাংলাদেশের বিজয়সূচক গোল হিসেবে প্রমাণিত হয়। তখন খেলার সময় ছিল মাত্র কয়েক মিনিট।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময়ে বাংলার মেয়েরা আবার নতুন করে বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিল। পুরুষ দল যেখানে সাফ শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি, মেয়েরা সেটা করতে পেরেছে। সেখানে ঋতুপর্ণা,রুপনা, সাবিনাদের, টানা দুইবার শিরোপা জয় নারীদের ফুটবলে বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য গৌরব এনে দিয়েছে।
Leave a Reply